বিগত সাড়ে
পনেরো বছর ধরে ছাত্রশিবিরকে ক্যাম্পাসে কার্যক্রম পরিচালনার কোনো সুযোগ দেওয়া হয়নি,
এমনকি মাদরাসাগুলোতেও তাদের স্বনামে দাওয়াত দেওয়ার পথ রুদ্ধ করা হয়েছিল। ছাত্রসমাজ
থেকে দূরে রাখতে ছাত্রশিবিরের নামে নানা রকম মিথ্যা প্রোপাগাণ্ডা ছড়িয়ে তাদের নেগেটিভ
চরিত্রের সংগঠন হিসেবে উপস্থাপন করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। মসজিদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
কিংবা বাসা থেকে তাদের ধরে নিয়ে গিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
আজ (২১ জানুয়ারি)
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির আয়োজিত ‘শাখা দায়িত্বশীল কর্মশালা'য় প্রধান অতিথির বক্তব্যে
এসব কথা বলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। গতকাল (২০ জানুয়ারি)
রাজধানীর শহীদ আব্দুল মালেক মিলনায়তনে সকাল ৮টায় দারসুল কুরআনের মাধ্যমে কর্মশালা শুরু
হয়।
জামায়াত আমির
বলেন, ‘মসজিদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিংবা বাসা থেকে ছাত্রশিবিরের সদস্যদের ধরে নিয়ে গিয়ে
পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তারা মনে করেছিল, শিবিরকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে, শিবিরের
নাম-নিশানা মুছে ফেলেছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সব প্রতিকূলতা
অতিক্রম করে শিবির এখন ছাত্রসমাজের কাছে সবচেয়ে আপন সংগঠন। সাধারণ ছাত্রসমাজ শিবিরকে
সভ্য, ভদ্র ও মেধাবী ছাত্রদের ঠিকানা হিসেবে দেখে।’
শফিকুর রহমান
যোগ করেন, ‘ছাত্ররা শিক্ষা ও গবেষণার পাশাপাশি চরিত্রে বিকাশ লাভ করুক। এ দায়িত্ব ছাত্রশিবিরকেই
নিতে হবে। এটা অন্য কোনও সংগঠনের পক্ষে সম্ভব নয়। কিছু সংগঠন নিজেদের বড় মনে করলেও
তাদের কর্মসূচিতে চরিত্র গঠনের কার্যক্রম নেই, বরং চারিত্রিকভাবে দেউলিয়া সংগঠনগুলো
ছাত্রশিবিরকে প্রতিপক্ষ মনে করে। কিছু ইসলামী সংগঠন এখনও সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সঠিক
অবস্থান তৈরি করতে পারেনি। এ অবস্থায় শিবিরকেই ছাত্রসমাজের চরিত্র গঠন ও মানসিক উৎকর্ষ
সাধনের দায়িত্ব নিতে হবে।’
ছাত্রশিবিরের
সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দামের সঞ্চালনায় ও কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলামের
সভাপতিত্বে সারা দেশে শাখা দায়িত্বশীল কর্মাশালা অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতির বক্তব্যে
জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ছাত্রশিবির নামে বাগানের মালি। আমাদের সামনে শহীদদের রক্তের
উত্তরাধিকার ও বিপুল দায়িত্ব। এ পথ ফুল বিছানো নয়; বরং এটি কণ্টকাকীর্ণ। সংগঠনের প্রতিটি
দায়িত্বশীলের উচিত, এ দায়িত্বকে আমানত হিসেবে বিবেচনা করা।’